১৮ শতকের শেষ পর্যায় বর্তমান মাধবদী বাবুর হাটের পাশ্ববতী উত্তর দিকে আনন্দী গ্রামে কাজির হাট নামে একটি হাট বসতো বিকাল থেকে রাত্র পযন্ত । এই হাটে তখন কার দিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদী কেনা বেচা হত। এই হাট কখন , কবে,কিভাবে, বিলুপ্ত হয় তা জানা যায়নি। তবে ১৯ শতকের প্রথম দিকে মাধবদীতে স্থানীয় জমিদারের পৃষ্টপোষকতায় বলতে গেলে তাদের বাড়ীর আজ্ঞিনায় প্রতি সোমবার দিন হাট জমতে শুরু করে। মাধবদী এবং আশপাশের কয়েকটি গ্রাম, যেমন- আলগী, বিরামপুর,আনন্দী ইত্যাদিতে এক শ্রেণীর লোকের গর্ত তাঁতের মাধ্যমে কাপড় উৎপাদন করতো এবং মাধবদীর সাপ্তাহিক হাটে উৎপাদিত কাপড় বিক্রির জন্য নিয়ে আসতো। এই এলাকা এবং এই হাটের কাপড়ের সুখ্যাতি ক্রমান্বয়ে সারা ভারত উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। স্বদেশী আন্দোলনের সময় মহাত্নাগান্ধীর ঘোষণা অনুযায়ী এলাকায় স্বদেশী আন্দোলন কর্মীদের তাগিদে যখন বিদেশী বস্ত্র বর্জন শুরু হয় তখন যোগীদের পাশাপাশি অত্রাঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ কাপড় বুনন কাজে উৎসাহী হয়ে পড়ে। এই সময় এলাকার কিছু সজ্জন ব্যক্তি নিজস্ব প্রচেষ্টায় ও প্রযুক্তির মাধ্যমে জাপানী কলের প্রচলন শুরু করে। তারপর থেকেই বস্ত্র উৎপাদনে ব্যাপক গতিশীলতা আসে, ফলে বাবুর হাটে প্রচুর প্রিমান কাপড় আমদানী ও রপ্তানী শুরু হয়। মারোয়াড়ী ব্যবসায়ীরা পশ্চিম বঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যা, আসাম ইত্যাদি অঞ্চলে কাপড় চালান দিতে থাকে। তারা এখন থেকে কাপড় ক্রয় কড়ে সারা বিশ্বে মাধবদীর কাপড়ের পরিচিতি ও সুখ্যাতি তুলে ধরে। যার ফলে মাধবদী বাবুর হাট তখন থেকেই প্রাচ্যের ম্যানচেষ্টার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।